মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি :
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দোছরী খালের উপর নির্মিত ব্রীজের কাজ প্রায় চার বছরেও শেষ হয়নি । গত ১৩ জুন, ২০১৪ সালে ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে দীর্ঘ ৭৮ মিটার আরসিসি গার্ডার এ ব্রীজটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন কক্সবাজার সদর রামু আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি। অদক্ষ টিকাদারের কচ্ছপ গতিতে কাজ চলা এবং এলজিইডি অফিসের ম্যাপে ভুল হওয়ার কারণে উদ্ভোধনের ৪ বছর হলেও ব্রীজটি আলোর মুখ দেখেনি। সচেতন মহলের মতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাম কিয়ালির কারণে অবশিষ্ট কাজ এভাবে পড়ে আছে। অর্ধেক কাজ হওয়ার পর কী কারণে জনবহুল এলাকার এই ব্রীজের কাজের অগ্রগতি হচ্ছেনা, কী কারণে নাজুক অবস্থায় পড়ে আছে বিষয়টি নিয়ে এখন এলাকার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মনে নানা প্রশ্ন?।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২০০৬ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর তৎকালিন চারদলীয়জোট সরকারের আমলে সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সহিদুজ্জামান দোছড়ী খালের উপর প্রথম ব্রীজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর শুভ উদ্ভোধন করেন। ২ বছর পার হতে না হতেই ২০১২ সালে ভয়াবহ বন্যায় ব্রীজটির মাঝ খানের অংশ ভেঙ্গে যায় । এর পর থেকে এলাকার মানুষের চলাচল ও স্কুল, কলেজে যেতে শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। বিশেষ করে বর্ষা কালে নদীর অবস্থা যখন ভয়াবহ থাকে তখন মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ব্রীজ ভাঙ্গার ২ বছর পর এলাকার সবাই মিলে পুরাতন ব্রীজের উপর তক্তা দিয় একটা ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করে। বর্তমানে সেই ঝুলন্ত সেতুটির ও নাজুক অবস্থা। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের প্রচেষ্টায় ২০১৪ সালের ১৩ জুন পুরাতন ব্রীজটির ২০০ মিটার নিচে নতুন করে ৭৮ মিটার গার্ডার ব্রীজের ভিত্তি স্থাপন করেন বর্তমান এমপি কমল। কিন্তু ৪ বছরের কাছাকাছি সময় পার হয়ে গেলেও ব্রীজের অংশবিশেষের কাজ হওয়ার পর আর কোন কাজ হয়নি এখনো। সাবেক মেম্বার ছালেহ আহম্মদ ও বর্তমান মেম্বার জয়নাল আবেদীন জানান, ব্রীজটির কাজ বন্ধ হওয়ায় গ্রামবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। তাই সবার মনে একটাই প্রশ্ন কখন শেষ হবে ব্রীজের কাজ । এতদাঞ্চলের মানুষগুলো কখন দুর্দশা থেকে মুক্তি পাবে সে আশায় বুক বেধে আছে এলাকার মানুষ। এ বিষয়ে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টিকাদার আবদু সালামের মুঠোফোনে জানতে চাইলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বী সাবেক প্রইমারী শিক্ষক মাষ্টার আহম্মদ আলী এ প্রতিবেদকে জানান, দোছরী নদীর উপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা আর সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে শিক্ষার্থীরা, ঠিক সময়ে ক্লাসে আসা অনেক ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে পড়ে। বর্ষা ও বৃষ্টির মৌসুমে এই নদীতে প্রবল স্রোত থাকে সে সময়ে ঝুঁকি নিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থী, নারী ও শিশুদের পারাপার হতে হয়। ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ ম্পাদক নাছির উদ্দিন সিকদার সোহেল জানান নদী পারাপারের সময় দুর্ঘটনার ঘটে। সেতু না থাকায় বিভিন্ন গ্রামে আবাদ হওয়া সবজি, কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য পণ্য জেলা শহরে পাঠাতে কৃষকেরা দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। এ ব্যাপারে জনদুর্ভোগ লাগব হওয়ার জন্য। কক্সবাজার সদর–রামু ৩ আসনের সাংসদ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করেন।